গ্রিসের বিপক্ষে গোলের পর দিয়াগো ম্যারাডোনা ছবি-সংগৃহিত |
দিয়াগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা ফুটবলের
এক মহানায়ক। আর্জেন্টিনা ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপে
গ্রিসের বিপক্ষে মাঠে নামে।
গ্রিসের বিপক্ষে গোল করার পর ম্যারাডনার সেই পাগলাটে উল্লাস। বলা হয় বিশ্বকাপের ইতিহাসে
সবচেয়ে প্রশ্নবিদ্ধ উদযাপন। গোলের পর সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে
বিকৃত মুখ আর কোটর থেকে বের হয়ে আসা চোখের দৃষ্টি দিয়ে উদযাপন করেছিলো ম্যারা্ডোনা।
ফিফার সন্দেহটা তখনি গাঢ় হয়েছিল বলে অনেকের ধারণা। ডোপ টেস্টে নিষিদ্ধ
এফিডেরিনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে ম্যারাডোনার শরীরে। নিষিদ্ধ হলেন সর্বকালের অন্যতম
সেরা এই ফুটবলার। আর্জেন্টিনার জার্সিতে গ্রিসের বিপক্ষে ঐ গোলটায় হয়ে গেল শেষ গোল একই সাথে শেষ ম্যাচও।
তখন থেকেই ফুটবল বিশ্বে শুরু হলো নানা
আলোচনা সমালোচনা। নানা মুনি নানা কথা বলে চলেছেন সেই ১৯৯৪ সাল থেকে। কেউ কেউ দাবি করেছেন
ফিফার ষড়যন্ত্রের শিকার ম্যারাডনা। সাম্প্রতিক
সময়ে রোমার সাবেক আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার
আবেল বালবো মুখ খুলেছেন এই প্রসংগে। তিনি ম্যারাডোনার সাথে ১৯৯০ ও ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ
খেলেছেন। তিনি মনে করেন ডোপ পরীক্ষায় ম্যারাডোনার পজিটিভ হওয়া ছিল ফিফার সাজানো
নাটক। মুলত কূটচালে এই কিংবদন্তিকে বয়কট করেছিলো ফিফা।
‘লিবেরো প্রোগ্রাম’কে বালবো বলেন, ‘ম্যারাডোনার সাথে যা
কিছু ঘটেছে, সব ছিলো ফিফার বয়কট নীতি। হোয়াও হ্যাভেলাঞ্জের
সভাপতিত্বে শেষ বছরে ওরা চ্যাম্পিয়ন হতে দিত্যে চায়নি তাকে’।
বালবো মনে করেন সেই বিশ্বকাপে আমাদের দল দারুন ছন্দে ছিলো। যে বিশ্বকাপে
আমাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা সেটি হয়ে আছে ক্যারিয়ারের অন্যতম দুঃখের স্মৃতি।
0 মন্তব্যসমূহ