১৮ বছর পরও 'নাইট ওয়াচম্যান' গিলেস্পির সেই রেকর্ড অক্ষত, অম্লান।


দ্বিশত ইনিংস খেলার পর গিলেস্পি  ছবি- সংগৃহিত


জেসন নিল গিলেস্পি বা যাকে আমরা গিলেস্পি হিসেবে চিনি । আস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের অন্যতম ফাস্ট বোলার ছিলেন এই জেসন গিলেস্পি। কিন্তু তিনি জীবনের শেষ টেস্ট ম্যাচে অমলিন , অক্ষুন্ন এক রেকর্ডের মালিক হয়ে আছেন ব্যাটার হিসেবে। নাইট ওয়াচম্যান বা নৈশ প্রহরী হিসেবে ব্যাট করতে নেমে অপারিজত ছিলেন ২০১ রানে। যে  রেকর্ড আজো অম্লান।

নাইট ওয়াচম্যান বা নৈশ প্রহরী টেস্ট ক্রিকেট বা লাল বলের খেলায় খুবি পরিচিত একটি শব্দ। টেস্ট ক্রিকেটে পড়ন্ত বিকেলে সাধারনত উইকেট পড়ার একটা সু্যোগ থাকে। তাই কোন টপ অর্ডার কোন ব্যাটার আউট হলে নতুন ব্যাটার হিসেবে একজন বোলারকে পাঠানো হয় যার কাজ হবে শুধু দাঁত কামড়ে ২২ গজ পিচে পড়ে থাকা। যাতে করে নতুন কোন ভালো ব্যাটারকে ক্রিজে না আসতে হয়। কিন্তু অনেক সময় এই নাইট ওয়াচ ম্যানই বিপক্ষ দলের জন্য মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়ায়। 

যেমনটা হয়েছিলো ২০০৬ সালে।  বাংলাদেশের সাথে চট্টগ্রামে ২য় টেস্ট খেলতে নেমেছিলো অস্ট্রেলিয়া । সেই টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৯৭ রানে অলআউট হয়। ফলে আজিরা ব্যাট করেত নামে পড়ন্ত বিকেলে। ব্যাটে নামারপর ম্যাথু হেইডেনের উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। পরে রিকি পন্টিং ব্যাটে না এসে গিলেস্পিকে ব্যাট করতে নামানো হয় যিনি পুরদস্তুর একজন ফাস্ট বোলার। পন্টিং নিজেও ভাবেননি কি হতে চলেছে । পরে যা হল তা এক ইতিহাস ।

পুরোদস্তুর একজন ব্যাটারের মত ৪২৫ বলে  ২০১ রানের এক ঝলমলে ইনিংস খেললেন গিলেস্পি। ৫৭৪ মিনিট ক্রিজে ছিলেন হাকিয়ে ছিলেন ২৬ টি বাউন্ডারি ২টি অভার বাউন্ডারি। তারপরো তাকে টলানো যায়নি ছিলেন অপরাজিত। সেদিন  ৪ উইকেটে ৫৮২ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিলো আস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের ২য় ইনিংস শেষ হয় ৩০৪ রানে । ১৮ বছর পরও গিলেস্পির সেই রেকর্ড অক্ষত, অম্লান। এমনকি এই রেকর্ড কখনোর ভাঙবে কিনা তাও সন্দেহ । তাই লম্ব চুলের অজি পেসারের এই রেকর্ডকে ২২ গজে ‘অত্যন্ত বিরল’ রেকর্ড হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ